আফগানিস্তানের কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রচণ্ড গোলযোগের ভেতরে দুই মাসের একটি শিশুকে একজন মার্কিন সেনার কাছে হস্তান্তরের পর আর তাকে খুঁজে পাননি তার মা-বাবা। গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর নিখোঁজ শিশুর মা-বাবা আফগানিস্তান ছেড়ে আমেরিকায় চলে যাওয়ার চেষ্টার সময় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

গত ১৯ আগস্ট মির্জা আলী আহমাদি এবং তার স্ত্রী সুরাইয়া তাদের পাঁচ সন্তানকে নিয়ে গোলযোগের মধ্যদিয়ে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে শিশু সন্তানদের নিয়ে বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।

এ অবস্থায় তারা দুই মাসের শিশু সোহাইলকে কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে থেকে একজন মার্কিন সেনার কাছে দিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের ধারণা ছিল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করার পর তারা তাদের শিশুকে আবার কাছে পাবেন। কিন্তু বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করে তারা আর ওই মার্কিন সেনা কিংবা তাদের কোলের শিশুকে খুঁজে পাননি।

মির্জা আলী আহমাদি ও তার স্ত্রী সুরাইয়া ধারণা করছেন, শিশুটি প্রচণ্ড ভিড়ের ভেতরে মারা গিয়ে থাকতে পারে। মির্জা আহমাদি জানান, তার পরিবারকে সাহায্যের প্রস্তাব মার্কিন সেনা নিজেই দিয়েছিল।

মির্জা আহমাদি ১০ বছর ধরে কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করে আসছিলেন। তিনি বিমানবন্দরে যত মার্কিন সেনাকে দেখেছেন তাদের সবাইকে তার শিশু সন্তানের কথা জিজ্ঞেস করেছেন। কিন্তু কারো কাছেই খোঁজ পাননি।

একজন বেসামরিক মার্কিন কর্মকর্তা মির্জা আহমাদিকে বলেছেন, যেহেতু শিশু সোহাইল কাবুল বিমানবন্দরের কোথাও নেই, সে কারণে ধারণা করা হচ্ছে যে, সে অন্য কোনো বিমানে আফগানিস্তানের বাইরে চলে গেছে।-পিটি

এখন সময়/শামুমো